কর্ণফুলী পেপার মিলস আবার পুনরুজ্জীবিত হবে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, কর্ণফুলী পেপার মিলসের পুরোনো অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি বদলে ফেলে কারখানাটিকে ঢেলে সাজানো হবে। ভবিষ্যতে এই কারখানাই দেশের কাগজের চাহিদা মেটাবে। এ জন্য কাগজকলটি পুনরুজ্জীবিত হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরও বলেন, ‘কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই কাগজকল চালু থাকলে বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না আমাদের। কেপিএম আবার ঘুরে দাঁড়াবে। তবে একটু সময় লাগবে।’
কারখানার ১৯৫৩ সালের পুরোনো ভবন আর যন্ত্রপাতির অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এগুলোর যৌবন শেষ হয়ে গেছে, ভেঙে ফেলতে হবে। নতুনত্ব আনতে হবে। বিশেষজ্ঞ দল আসবে। তাদের মতামত নিয়ে প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প চালু করা হবে। বর্তমানে কাগজের যে চাহিদা আছে, তা যাতে মেটাতে পারে সে রকমভাবে কারখানাটিকে আধুনিকায়ন করা হবে। বিদেশ থেকে যাতে কাগজ আনতে না হয়, সে জন্য উৎপাদিত কাগজের মানও বাড়াতে হবে।
এর আগে দুপুরে শিল্পমন্ত্রী কেপিএমের সম্মেলনকক্ষে বিভাগীয় কর্মকর্তা ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম আনিসুজ্জামান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম কাগজ কারখানা কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) ১৯৫৩ সালে বছরে ৩০ হাজার টন কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে কেপিএম পরিচালিত হয়। ১ লাখ ২৭ হাজার একর জায়গা নিয়ে কারখানাটি অবস্থিত। তিন দশকের বেশি সময় ধরে কারখানায় বড় কোনো সংস্কারকাজ হয়নি।