লঘুচাপে সাগর উত্তাল, উপকূলে থেমে থেমে বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বাগেরহাটের মোংলা পৌর শহরে
ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে লঘুচাপের কারণে মোংলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে মাছ ধরতে বলা হয়েছে। লঘুচাপ ও বৃষ্টির কারণে জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে উপকূলীয় নদ-নদীর পানি। মোংলায় পশুর নদের পানি বাড়ায় জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আছে নদীতীরের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।

এদিকে সাগর থেকে ফিরে জেলেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। প্রচণ্ড ঢেউ ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে জেলেরা সাগরে টিকতে পারছেন না। আজ মঙ্গলবার সকালে ট্রলার নিয়ে বাগেরহাটের কেবি মৎস্য আড়ত ঘাটে ফেরা ট্রলার এফবি আল্লার দান ট্রলারের জেলে ইয়াছিন আলী বলেন, ‘দুই দিন ধরে সাগর উত্তাল। বড় বড় ঢেউ ও বাতাসে টেকা যায় না। সামনে (৭ থেকে ২৮ অক্টোবর) সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু ঝোড়ো আবহাওয়ায় ফিরে আসতে হইছে।’

গত ২৪ ঘণ্টায় মোংলায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মোংলা বন্দরের পণ্য উঠানামার কাজ। মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, গতকাল সোমবার ভোর থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত মোংলায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কাল বুধবার বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।