ভাঙ্গায় সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের মামলা, প্রধান আসামি নিক্সন চৌধুরী
ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনে জুড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, থানা ও হাইওয়ে থানাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা এবারের মামলাটিতেও প্রধান আসামি করা হয়েছে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে।
ভাঙ্গা উপজেলার সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর সৌমেন্দ্র নাথ সরকার মামলাটি করেন। এ মামলায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ নম্বর আসামি হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া। ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চর দত্তপাড়া মহল্লার মনির চৌধুরী। মনির চৌধুরী মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং মাদারীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি নিক্সন চৌধুরীর চাচাতো ভাই। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানায় মামলাটি নেওয়ার দিন দেখানো হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর। পুলিশের পক্ষ থেকে আজ রোববার বিষয়টি জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের করা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এ মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
গত সোমবারের সহিংস ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় এ নিয়ে মোট তিনটি মামলা হলো।
এর আগে গত মঙ্গলবার ভাঙ্গা থানা–পুলিশ এবং বৃহস্পতিবার ভাঙ্গার হাইওয়ে থানা মামলা করে। এ ছাড়া ওই সহিংস ঘটনার আগের দিন গত রোববার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যানসহ মোট ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করে ভাঙ্গা থানা–পুলিশ। মামলাটির আগের দিন আটক আলগীর ইউপি চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
উপজেলা প্রশাসনের করা মামলায় সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুরের পাশাপাশি সম্পদ লুটেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখানো হয়েছে অন্তত এক কোটি টাকা। হামলাকারীরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন নথিপত্র, কম্পিউটারসামগ্রীসহ মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।