বাবা ও ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ফাঁসি
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরে বাবা ও ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে বাঞ্চারাম রায় (৫৭) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় আজ বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাঞ্চারাম রায় দিনাজপুর সদর উপজেলার আমইর গ্রামের বঙ্কিমচন্দ্র রায়ের ছেলে। তবে রায় ঘোষণার সময় বাঞ্চারাম রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের আমইর গ্রামের লোহারাম রায় ও বাঞ্চারাম রায় এবং তাঁদের বাবা বঙ্কিমচন্দ্র রায়ের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্কিমচন্দ্র রায় বাড়ির আঙিনায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এ সময় বড় ছেলে বাঞ্চারাম রায় তাঁর বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এ সময় ছোট ভাই লোহারাম রায় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান বাঞ্চারাম রায়।

স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় লোহারাম রায় ও বঙ্কিমচন্দ্রকে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত লোহারাম রায়ের স্ত্রী কুমুতী রানী রায় বাদী হয়ে বাঞ্চারাম রায়কে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় আসামি বাঞ্চারাম রায়কে মৃত্যুদণ্ড দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি হাসনে ইমাম নয়ন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক। আমরা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার পেয়েছি। প্রায় সাড়ে ১৬ বছর পর হত্যা মামলার রায় হলো।’