জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫, অটোরিকশা ভাঙচুর

ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ বাজার চৌমোহনায়
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলাতে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাঙচুর চালানো হয়। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ চালকেরা আধঘণ্টা জুড়ী-লাঠিটিলা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ বাজার চৌমোহনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়ার মধ্যে নানা বিষয়ে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে।

বুধবার দুপুরের দিকে তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও সংগঠনের সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে ইকবাল ভূঁইয়ার পক্ষের নেতা-কর্মীরা তৈয়বুন্নেছা খানম কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন।

এ সময় সাহাব উদ্দিনের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হুমায়ুন রশীদের নেতৃত্বে অপর পক্ষের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলে করে মিছিল নিয়ে ওই এলাকা অতিক্রম করছিলেন। দুই পক্ষের লোকজন মুখোমুখি হওয়ায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। পরে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের পারভেজ আহমদ, রাকিব আহমদ, নাইম হোসেন ও মামুন আহমদ আহত হন।

সংঘর্ষের সময় সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। বুধবার দুপুরে ভবানীগঞ্জ বাজার চৌমোহনায়
ছবি: সংগৃহীত

সংঘর্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চারটি অটোরিকশায় ভাঙচুর চালান। ভাঙচুরের সময় ইটের আঘাতে বলরাম নামের অটোরিকশার এক চালক আহত হন। খবর পেয়ে জুড়ী থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা সটকে পড়েন। পরে অটোরিকশা ভাঙচুরের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কে এলোপাতাড়ি গাড়ি রেখে অবরোধের সৃষ্টি করেন। এতে লোকজন দুর্ভোগে পড়েন। পরে পুলিশের লোকজন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আধা ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিনের অনুসারী হুমায়ুন রশীদ বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন। অন্য পক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালান।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবালের অনুসারী সাইদুল ইসলাম বলেন, তাঁদের মিছিলের পেছন থেকে সাহাবের পক্ষের লোকজন হামলা চালালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হচ্ছে।