কার কাছে যাবে বাবা–মায়ের স্বেচ্ছায় দত্তক দেওয়া দুই শিশু

শিশুপ্রতীকী ছবি

জন্মের পরপরই টাকার বিনিময়ে দুই যমজ  শিশুকে দত্তক দিয়ে দেন বাবা–মা। পরে দুজনের মধ্যে টাকা নিরোধ দেখা দিলে তাদের মা আদালতে মামলা করেন। মামলার পর দুই শিশুকে উদ্ধারে গত শনিবার রাতে অভিযানে নামে পিবিআই। অভিযানে তাদের একজনকে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন থেকে ও আরেকজনকে রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়। দুই যমজ শিশু কার কোলে যাবে, তা আজ সোমবার নির্ধারণ করবেন আদালত।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, শিশু দুটিকে জন্মের পরপরই মা-বাবা স্বেচ্ছায় দত্তক দেন তিন লাখ টাকায়। পরে মা-বাবার মধ্যে টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব হলে মা আদালতে বাবাসহ কয়েকজনকে আসামি করে মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আজ সোমবার শিশু দুটিকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জন্মের পরপরই টাকার বিনিময়ে দুই যমজ  শিশুকে দত্তক দিয়ে দেন বাবা-মা। পরে দুজনের মধ্যে টাকা নিরোধ দেখা দিলে তাদের মা আদালতে মামলা করেন।

পিবিআই সূত্র জানায়, যমজ শিশু দুটির মা বাদী হয়ে মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলা করেন। এতে বলা হয়, গত ৩ মার্চ নগরের একটি হাসপাতালে তাঁর দুটি যমজ শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু তাঁর স্বামী ও হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক মিলে তাঁর শিশুদের বিক্রি করে দেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে গত শনিবার দুই শিশুকে অক্সিজেন ও রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার করে।

পরে পিবিআই জানতে পারে, শিশুদের মা মামলার বাদী যখন সন্তানসম্ভবা হন, তখন এক নারীর মাধ্যমে দুই সন্তানকে বিক্রির জন্য অপর দুজনকে ঠিক করেন। কথামতো সন্তান জন্মের পর ছেলেসন্তানকে তিন লাখ টাকায় নিঃসন্তান এক নারীর কাছে দত্তক দেন। কন্যাসন্তানকে এক লাখ টাকায় আরেক নারীর কাছে দত্তক দেন। দুজনের কাছ থেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এক লাখ পান আরেক নারী। সন্তান বিক্রির টাকা থেকে বাদীর স্বামী পাঁচ হাজার টাকা চান কিছুদিন আগে। কিন্তু স্বামীকে টাকা দেননি বাদী। পরে স্বামী সন্তান বিক্রির টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে নেন স্ত্রীর অগোচরে। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নালিশি আদালতে মামলা করেন স্ত্রী।