সখীপুরে ইউপি নির্বাচনে চাচা-ভাতিজার লড়াই

আবদুল হালিম সরকার ও মিজানুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটের মাঠে লড়াই করছেন চাচা-ভাতিজা। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বেশ কৌতূহল।

ভোটারদের ভাষ্য, চাচা-ভাতিজা দুজনই তাঁদের গ্রামের সন্তান। দুজন প্রার্থী হওয়ায় তাঁরা কাকে ভোট দেবেন, এ নিয়ে পড়েছেন বিড়ম্বনায়। চাচা-ভাতিজা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে নির্বাচন পর্যন্ত ভোটারদের কাছে চাচা-ভাতিজার নির্বাচনী লড়াই বেশ উপভোগ্য হবে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার। ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তাঁর ভাতিজা মিজানুর রহমান বড়চওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনিও দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ তাঁকে দলে টেনে নিয়ে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে আবদুল হালিম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি ১০০ ভাগ আশাবাদী। এ ক্ষেত্রে আমার ভাতিজা তেমন কোনো সমস্যা নয়। আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’

মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাচা আমার চেয়ে বড় মানুষ। তবে তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। আমার পক্ষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ দলীয় শতাধিক নেতা-কর্মী মাঠে রয়েছেন ও থাকবেন। চাচার পেছনে এখন কোনো দল নেই। তাঁর কোনো শক্তিও নেই।’

উপজেলার নবগঠিত চারটি ইউনিয়নে ১৭ জুলাই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বড়চওনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মিজানুর রহমান গামছা প্রতীক নিয়ে ও তাঁর চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল গফুর সরকারের চশমা প্রতীক নিয়ে এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আলী ভূঁইয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চাচা-ভাতিজার নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক। তিনি বলেন, তাঁদের কাছে সব প্রার্থীই সমান।