কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে যখন শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ তৈরি হয়েছিল, তখনই ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাস, তাণ্ডব ও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। ছাত্ররা যদি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তাহলে তাদের (হামলাকারী) উদ্দেশ্য হাসিল হবে না। সে জন্যই তাড়াহুড়ো করে সেদিন ঢাকা শহরে নানা স্থাপনায় হামলা করেছে তারা।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি পুলিশের ড্রেস পরে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক পরেও সেদিন নিরীহ ছাত্রদের আক্রমণ করে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় এই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কোটা সংস্কার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস করতে না পারলেও কনটেইনার রাখার বাড়তি ভাড়া দিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানতে চান সাংবাদিকেরা। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় পণ্য খালাস করতে না পারায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পণ্য খালাস করতে না পারার সঠিক তথ্যপ্রমাণ দিলে তা বিবেচনা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই বলে জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা পাঁচ-ছয় দিন বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারেনি। জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানোর চার দিন পর থেকে ভাড়া গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। প্রথম সাত দিনের জন্য প্রতিদিন ৬ ডলার, এরপর ১১ দিনের জন্য প্রতিদিন ১২ ডলার এবং পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিদিন ২৪ ডলার করে ভাড়া দিতে হয়।