সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার উদ্ধার অভিযান শেষ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের অক্সিজেন তৈরির কারখানায় উদ্ধার অভিযান চালান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের অক্সিজেন তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক এ ঘোষণা দেন।

গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। রাতে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছিল। আজ সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে আসা আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে কাজ শুরু করে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফিং দেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নেই। তবুও তাঁদের দুটি ইউনিট তাঁরা দুর্ঘটনা এলাকায় রেখেছিলেন। এখন আর দুর্ঘটনা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে তাঁদের উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাটির ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সের শর্ত অনুসারে সেফটির ব্যবস্থা যথাযথ ছিল। কিন্তু পুরো কারখানা সেফটি প্ল্যানের আওতায় আনতে একটি সেফটির আবেদন করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেটির অনুমোদনের সব প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। দুই-এক দিনের মধ্যে সেটি হয়তো পেয়ে যাবে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এখানে মেশিনের ত্রুটির জন্য হোক বা যেকোনো কারণে হোক, বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে আগুনের কারণে বিস্ফোরণটি হয়নি বরং বিস্ফোরণের কারণেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, যে আগুনটা তাঁরা নির্বাপন করেছেন।

এর আগে সীতাকুণ্ডে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। সে ঘটনাগুলোর পরে কলকারখানাগুলোয় কি পরিমাণ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতে হবে, সে বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের ২৩টি কনটেইনার ডিপোকে সার্ভের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো কারখানাকে সার্ভের আওতায় আনা হবে।’