ভোলায় তেলবাহী জাহাজডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি ও থানায় জিডি

ভোলার মেঘনায় জাহাজডুবির পর থেকে নদীর পানিতে ভাসছে তেল। এতে করে জলজ প্রাণি ও উদ্ভিদের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবার সকালে ভোরা সদর উপজেলার পূর্ব মেঘনায়
ছবি: প্রথম আলো

ভোলার মেঘনা নদীতে তেলবাহী জাহাজডুবির ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। কমিটিকে চার কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানির মহাব্যবস্থাপকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজ ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’-এর মাস্টার মো. মাকসুদুর রহমান ভোলা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসা পদ্মা অয়েলের প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য এসএইচআর নেভিগেশন কোম্পানি লিমিটেডের একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে। ওই নেভিগেশন কোম্পানির তেলবাহী জাহাজ ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’।

জিডি করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজের মাস্টার মাকসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার রাতে তেলবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। গতকাল রোববার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলিসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে তাঁদের জাহাজটি অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তখন জাহাজটির তলা ফেটে ডুবতে শুরু করে। জাহাজে ১১ লাখ লিটার ডিজেল ছিল। পরে স্থানীয় জেলে ও বালুবাহী জাহাজের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে তাঁরা ১২ জন জীবিত উদ্ধার হন।

আরও পড়ুন

মাস্টার আরও বলেন, কোস্টগার্ড কয়েকটি নিষ্কাশনযন্ত্র দিয়ে প্রায় এক হাজার লিটার তেল উদ্ধার করেছে। বাকি ডিজেল ভেসে গেছে। আজ সকাল ১০টার দিকেও জাহাজ থেকে অকটেন বের হচ্ছিল।

পদ্মা অয়েলের প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক (পরিচালন) আসিফ মালিককে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক, বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তা (বিপণন) শফিউল ইসলাম বিশ্বাসকে সদস্যসচিব এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপক (পরিচালন) মো. আনোয়ার হোসেন ও চাঁদপুরে কর্মরত উপব্যবস্থাপক (পরিচালন)  ইমরানুল হাসান চৌধুরীকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (পরিচালন ও পরিকল্পনা) মো. আবু সালেহ ইকবালের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।