বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালে আসবেন। তাঁকে বরণ করতে দল ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিকেলে বরিশাল নগরের প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপাড় এলাকায় পৌঁছালে তাঁকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় বরণ করে শহরে নিয়ে আসবেন দলের নেতা-কর্মীরা। এরপর তাঁকে দেওয়া হবে নাগরিক সংবর্ধনা।
দলটির নেতারা বলেন, বেলা তিনটার দিকে সৈয়দ ফয়জুল করিম গড়িয়ারপাড় এলাকায় পৌঁছাবেন। সেখান থেকে অন্তত দুই হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করে তাঁকে বরিশাল নগরে আনা হবে। যানজট এড়াতে নগরের নথুল্লাবাদ থেকে সিঅ্যান্ডবি রোড হয়ে আমতলা মোড়ে মঞ্চ করে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, সংবর্ধনার জন্য নেতাদের প্রথম পছন্দ ছিল জিলা স্কুল মাঠ। তবে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে বরণ করে নিতে বড় আকারের ‘শোডাউন’ করতে এক সপ্তাহ ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। মূলত শুরুতেই চমক দেখাতে এই কৌশল নিয়েছে দলটি। বিএনপি এবার নির্বাচন বর্জন করায় এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব-অবিশ্বাসের কারণে এবারের সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে।
গত ১৮ এপ্রিল দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল ইসলামী আন্দোলন। কিন্তু ওই দিন দুপুরে তা আকস্মিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করে দলটি। ঈদের পাঁচ দিন পর ২৭ এপ্রিল মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
দলের কয়েকজন নেতা বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে ঘিরে এবার যে চমক সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে দল সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিতে তারা গণসংযোগ বা নির্বাচনী কার্যক্রমে মাঠে নামতে সময় নিচ্ছে। সবকিছু গুছিয়ে একসঙ্গে মাঠে নামতে চায় দলটি।
ইসলামী আন্দোলনের গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বে থাকা ইসলামী যুব আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি এইচ এম সানাউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিকেলে আমরা প্রার্থীকে বরণ করব। আমরা আশা করছি, বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী এতে যোগ দেবেন।’