মুন্সিগঞ্জে গলায় রশি প্যাঁচানো কিশোরের, ইটভাটার কাছে পড়ে ছিল অটোচালকের লাশ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজং উপজেলা থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সিরাজদিখানের বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকায় ইটভাটার কাছে অটোরিকশাচালকের এবং সকাল নয়টার দিকে লৌহজংয়ের হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হলদিয়া গ্রাম থেকে গলায় রশি প্যাঁচানো অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত অটোরিকশাচালকের নাম মো. নেকবর হোসেন (২২)। তিনি সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সাজা মিয়ার ছেলে। তাঁর লাশ বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকার এনআরবি নামে একটি ইটভাটার পাশে পড়ে ছিল। আর নিহত কিশোরের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।
বালুচর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ওয়াসিম আহমেদ বলেন, গতকাল রোববার বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন নেকবর হোসেন। স্বজনেরা রাতে বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। পরে আজ সকালে খাসকান্দি গ্রামের একটি ইটভাটার কাছে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আজ সকাল নয়টার দিকে লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হলদিয়া গ্রামের তিন দোকান এলাকা থেকে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় অজ্ঞাতনামা কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি নিচু জমিতে পড়ে ছিল।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহীন সরদার বলেন, ‘ছেলেটি আমাদের এলাকার নয়। স্থানীয় কেউ কিশোরটিকে চেনে না। গলায় রশি প্যাঁচানো ও বাঁ কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেটিকে মেরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।’
লৌহজং থানার ওসি মো. খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। কিশোরের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হচ্ছে।