নাঙ্গলকোটে যৌন নিপীড়নের পর শিশু হত্যা, আদালতে কিশোরের স্বীকারোক্তি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নিখোঁজের এক দিন পর সাত বছরের একটি ছেলেশিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। এরপর শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে লাশটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শুক্রবার ওই কিশোর কুমিল্লার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই কিশোর বলেছে, যৌন নিপীড়নের সময় মুখ চেপে ধরায় শ্বাসরোধে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই কিশোরকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। নিহত শিশু ও হত্যায় অভিযুক্ত কিশোরের বাড়ি উপজেলার একই গ্রামে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
নিহত শিশুটির চাচা বলেন, বুধবার দুপুর থেকে তাঁর ভাতিজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার খেলাধুলার সঙ্গীদের জিজ্ঞাসা করলে জানায়, ওই দিন বেলা তিনটার দিকে তাকে ওই কিশোরের সঙ্গে বাজারের দিকে যেতে দেখেছে। এ নিয়ে কিশোরকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, কিছুক্ষণ পর্যন্ত যাওয়ার পর তার সঙ্গে আর যায়নি। শিশুটিকে খুঁজে পেতে ওই কিশোরের পরিবারের অন্যান্য লোকজন এলেও সে আসেনি। এরপর থেকে ওই কিশোরকে নিয়ে সবার সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোর নিজেই জানায় শিশুটির লাশ গ্রামের একটি পুকুরে ভাসতে দেখেছে। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে।