যশোরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার

যশোর জেলার মানচিত্র

যশোর জেনারেল হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদক জুয়েল মৃধা ও ক্যামেরাপারসন আবুল কালাম আজাদ পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় পুলিশের দুই কনস্টেবল ক্যামেরা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। আজ বুধবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের দুই কনস্টেবল রবিউল ও হাফিজকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আহত সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত দুই বাংলাদেশি নাগরিককে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করতে হাসপাতালে যান সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল মৃধা ও ক্যামেরাপারসন আবুল কালাম আজাদ। এ সময় পুলিশ সদস্য হাফিজ ও রবিউল তাঁদের বাধা দেন। এমনকি ক্যামেরাপারসন আবুল কালাম আজাদকে গলা টিপে দেয়ালে ঠেসে ধরেন তাঁরা। ঠেকাতে গেলে প্রতিবেদক জুয়েল মৃধাকেও লাঞ্ছিত করেন তাঁরা। এ সময় ওই দুই পুলিশ সদস্য দুই সাংবাদিককে আটকেরও হুমকি দেন। এ খবর জানতে পেরে যশোরের অন্য সাংবাদিক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।

পুলিশের ওই দুই কনস্টেবল সময় টিভির ক্যামেরাপারসন আবুল কালাম আজাদকে গলা টিপে দেয়ালে ঠেসে ধরেন তাঁরা। ঠেকাতে গেলে প্রতিবেদক জুয়েল মৃধাকেও লাঞ্ছিত করেন তাঁরা। এ সময় ওই দুই পুলিশ সদস্য দুই সাংবাদিককে আটকেরও হুমকি দেন।

সময় টিভির যশোরের স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো উসকানি ছাড়াই পুলিশ সদস্যরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়। এ সময় আমাদের লাঞ্ছিত করা হয়।’

সাংবাদিকদের ওপরে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশের এমন কর্মকাণ্ড স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। সাংবাদিক লাঞ্ছনাকারী দুই পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেছেন। আমরা তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনা জানার পরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’