যমুনা নদীতে জেলের জালে ২৮ কেজির বিপন্ন বাগাড়, ৩১ হাজারে বিক্রি

আইন অনুযায়ী বাগাড় মাছ ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয় কিংবা আমদানি-রপ্তানি দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও প্রকাশ্যেই তা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর সরিষাকোল বাজারে মাছটি বিক্রি হয়েছে ৩১ হাজার টাকায়
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ২৮ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার মশিপুর সরিষাকোল বাজার থেকে এই বাগাড় মাছ স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি কিনে নেন। এ সময় মাছটি দেখতে সেখানে অনেকে ভিড় করেন।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নির্বিচার নিধনের কারণে দেশের হাওর-বাঁওড়, নদ-নদী থেকে চরমভাবে হ্রাস পেয়েছে বাগাড়। মাছটি কমে যাওয়ায় প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন এটিকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতি থেকে এ মাছ যেন হারিয়ে না যায়, সে জন্য বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২-এর তফসিল-২-এ মাছটিকে সংরক্ষিত করা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী বাগাড় মাছ ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয় কিংবা আমদানি-রপ্তানি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।

মশিপুর সরিষাকোল বাজারের মাছ ব্যবসায়ী হজরত আলী বলেন, ‘যমুনা নদীতে যে জেলেরা মাছ ধরেন, আমি প্রতিদিন সকালে তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের মাছ পাইকারি দামে কিনে এনে এই বাজারে বিক্রি করি। আজ সকালে একটি বড় বাগাড় মাছ এনেছিলাম। মাছটি স্থানীয় ১৫ জন মিলে ৩১ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।’

সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিলুপ্তপ্রায় মাছটি ধরা ও বিক্রি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জেলেদের জালে এ মাছ ধরা পড়লেই তাঁরা স্থানীয় বাজারে তাৎক্ষণিক সেটি বিক্রি করে দেন। এ বিষয়ে জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে।