বরিশালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণে মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক

বরিশালে এসি বিস্ফোরণের পর আতঙ্কে মুসল্লিরা মসজিদের বাইরে চলে আসেন। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের চকবাজার এলাকায় জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের সামনেছবি: প্রথম আলো

বরিশাল নগরের চকবাজার এলাকায় জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে মুসল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মুসল্লিরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে জোহরের নামাজ শুরু হলে হঠাৎ মসজিদের দ্বিতীয় তলায় ইমামের কক্ষে থাকা এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় মসজিদের ভেতরে কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। মুসল্লিরা নামাজ ছেড়ে নিচে নেমে আসেন। তবে কোনো মুসল্লি হতাহত হননি।

প্রত্যক্ষদর্শী এক মুসল্লি প্রথম আলোকে বলেন, দেড়টার দিকে মুসল্লিরা জোহরের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন মসজিদের দোতলার একটি এসি চালু করতে মুয়াজ্জিন বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করেন। স্পার্ক করলে তিনি দ্রুত সুইচ বন্ধ করে দেন। এরপর সবাই নামাজে দাঁড়ালে কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। পরে ইমামের কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় এবং এসির কাছাকাছি আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, কোনো হতাহতের ঘটনা ছাড়াই স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুসল্লিদের নিরাপদে মসজিদ থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

বরিশাল নগরের চকবাজার এলাকায় জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি
ছবি: প্রথম আলো

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপরই মসজিদের বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিস্ফোরণে এসি ছাড়া আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সবকিছু স্বাভাবিক আছে। মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায়ে কোনো অসুবিধা নেই।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা রবিউল আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। প্রাথমিকভাবে মুসল্লিদের মাধ্যমে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা জানতে পেরেছেন। তদন্তের পর মূল কারণ জানা যাবে। সড়ক সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিয়ে যেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘চকবাজারের সব রাস্তা সব সময় চালু রাখা উচিত। কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলো অপসারণের জন্য আমরা মসজিদ ও চকবাজার ব্যবসায়ী কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছি।’

বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার নাফিসুর রহমান বলেন, জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।