নাটোরে ছাগলের পুরো চামড়া ২০ টাকা, আজ পরিদর্শনে যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম নাটোরে সরকার নির্ধারিত দরে চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে না। ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ২০ টাকায় পুরো একটি চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা। গরুর চামড়াও কেনা হচ্ছে সরকার নির্ধারিত ৫৫ থেকে ৬৫ টাকার বদলে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। পরিস্থিতি দেখতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরে আসছেন।
নাটোর চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৫ লাখ গরু ও ১৫ লাখ ছাগলের চামড়া কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। মোকামের দুই শতাধিক দোকানে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২০ হাজার গরু ও ৫০ হাজার ছাগলের চামড়া কেনাবেচা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে দেশের ৩২ জেলার লবণযুক্ত চামড়া নাটোর মোকামে বিক্রির জন্য আসতে শুরু করবে। সেই সময় ঢাকার ট্যানারিমালিকেরাও চামড়া কিনতে এখানে আসবেন।
সোমবার দুপুরে নাটোর শহরের বনবেলঘরিয়া এলাকায় চামড়া মোকাম ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানে বেচাকেনা নেই। গরুর চামড়া লবণযুক্ত করে সংরক্ষণ করা হলেও ছাগলের চামড়া অবহেলায় পড়ে আছে। কয়েকজন ফড়িয়া চামড়া নিয়ে এলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না। লবণ ছাড়া এসব কাঁচা চামড়া নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা আখের উদ্দীন বলেন, ‘চামড়ার দাম নিয়ে এখানে তুঘলকি কাণ্ড চলছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আড়তদারেরা ছাগলের চামড়ার ন্যায্যমূল্য দিচ্ছে না। প্রতি পিস ১০–২০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য করছে। এতে গাড়ি ভাড়াও ওঠে না।’
ব্যবসায়ী নেতারা জানান, কাঁচা চামড়া মূলত ঈদের দিন ও পরদিন কেনাবেচা হয়। এরপর লবণযুক্ত চামড়া সাপ্তাহিক হাটবারে (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) কেনাবেচা হয়। প্রবীণ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, চামড়া পচনশীল জিনিস। এর দামদর সব সময় ঠিক রাখা যায় না। তবে এবার সরকার নির্ধারিত দরেই কেনাবেচা হচ্ছে।
চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হালিম সিকদার বলেন, সরকার ছাগলের চামড়ার দর নির্ধারণের সময় আকারের বিষয়টি বলেনি। পাঁচ ফুটের ওপরে যেসব চামড়া, সেগুলো নির্ধারিত দরে কেনা যাচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ চামড়াই ছোট, তাই গড়পড়তা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর চামড়া প্রতিটি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় কেনা হচ্ছে।