নাটোর সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের, আসামিদের আইনি সহায়তা দেবে না আইনজীবী সমিতি

নাটোর জেলার মানচিত্র

নাটোর আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীর ওপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আজ শুক্রবার সদর থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। এতে আটক পাঁচ যুবলীগ কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনায় আসামিদের আইনি সহায়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।

নাটোর আদালত চত্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলায় রাতুল ইসলাম (৩০) নামের এক বিচারপ্রার্থী গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় সদর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। একটি অস্ত্র আইনে, অন্যটি দণ্ডবিধি আইনে। অস্ত্র আইনের মামলার বাদী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন। দণ্ডবিধি আইনের মামলায় বাদী হয়েছেন ভুক্তভোগী রাতুল ইসলামের নানা আফজাল হোসেন।

গতকাল ঘটনাস্থল থেকে আটক করা শহরের ফতেঙ্গাপাড়ার সজীব হোসেন (৩০), বঙ্গজলের সুমন আলী (৩৫), কানাইখালীর শাহরিয়ার (২৮), গাড়িখানার সবুজ (২৭) ও দক্ষিণ পটুয়াপাড়ার মাহামুদুল হাসান ওরফে সোহাগসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে দুটি মামলাতেই আসামি করা হয়েছে। আসামিরা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

আরও পড়ুন

মামলার এজাহারে ঘটনাস্থল থেকে চারটি পিস্তলের গুলি, একটি চায়নিজ কুড়াল, চারটি দেশি ধারালো অস্ত্র ও নিবন্ধনহীন তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করার কথা উল্লেখ আছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচজন আসামিকে অস্ত্রসহ ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর তাঁদের আজ আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অস্ত্র মামলায় আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।

এদিকে ওই ঘটনায় আসামিদের আইনি সহায়তা না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির সভাপতি আবু আহসান আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ থেকে টানা তিন দিন ছুটি রয়েছে। এ কারণে আমরা সমিতির নির্বাহী কমিটির সভা করতে পারছি না। তবে পরস্পরের আলাপ-আলোচনায় একমত হয়েছি, আদালত চত্বরের ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের আইনি সহায়তা না দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকব। এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’