মনোনয়ন ফেরতের দাবিতে মজিবুর রহমানের সমর্থকদের কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন ফেরতের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ–মিছিল স্থানীয় বিএনপির এক পক্ষের নেতা-কর্মীদের। রোববার বিকেলে নিকলী সদরের নতুন বাজার এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে শেখ মজিবুর রহমানকে (ইকবাল) বিএনপির মনোনয়ন ফেরত দেওয়ার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীরা। আজ রোববার বিকেলে নিকলী সদরের নতুন বাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটি নিকলী বাজার প্রদক্ষিণ শেষে সন্ধ্যায় নতুন বাজার মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন নিকলী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মানিক মিয়া, মো. সাইফুল ইসলাম, এখলাছুর রহমান, হারুন অর রশিদ, আবু তাহের, মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক, আল মামুন, যুববিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার আরিফ, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিএনপির দুর্দিনে সাহসী ভূমিকা রেখে নেতা-কর্মীদের আগলে রেখেছেন মজিবুর রহমান। এ আসনে যাতে বিএনপি থেকে তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়। অন্য কোনো দল থেকে হুট করে কেউ এসে মনোনয়ন ছিনিয়ে নিয়ে গেলে দলের নেতা–কর্মীরা মানবেন না।

এ ছাড়া দুপুরে বাজিতপুরের পিরিজপুর এলাকায় একই দাবিতে মানববন্ধন, সড়কে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের পিরিজপুর এলাকায় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টাব্যাপী যানজটের কারণে জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

কর্মসূচিতে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আছেন মজিবুর রহমান। ৪ ডিসেম্বর তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে ২২ ডিসেম্বর বাবার গড়া বাংলাদেশ জাতীয় দল বিলুপ্ত করে সৈয়দ এহসানুল হুদা বিএনপিতে যোগদান করলে এ আসনে মজিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে এহসানুলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মজিবুর রহমানের অনুসারী নেতা-কর্মীরা।

মজিবুর রহমানের অনুসারীদের ভাষ্য, তাঁরা সৈয়দ এহসানুল হুদাকে চান না, মজিবুর রহমানের মনোনয়ন ফেরত চান। এ দাবি মেনে নিতে দলীয় নীতিনির্ধারকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, নেতা-কর্মীরা তাঁকে ভালোবাসেন। তাঁর মনোনয়ন ফেরতের দাবিতে এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

আর সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি আমার ওপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি দলের সেই সম্মান রাখব। এ আসনের বিএনপির নেতা-কর্মীরাও আমার সঙ্গে আছেন। সবার সহযোগিতায় আমি নির্বাচনে জয়লাভ করব।’