সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১০ লাখ টাকা আদায়, গ্রেপ্তার ৩

জয়পুরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজন
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটে সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ভুক্তভোগী এক তরুণের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার ভান্ডারপুর বাজার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের ফকিরপাড়া মহল্লার জামাল উদ্দিন (৬০), পশ্চিম আমুট্ট মহল্লার সালাম সরদার (৫৭) ও নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার কেশাইল গ্রামের নাজমুল হক (২৮)। এদের মধ্যে জামাল উদ্দিন প্রতারক চক্রের মূল হোতা বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে, সাজু নামের এক তরুণ সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতারক চক্রের সদস্যরা সাজুর বাবা শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রতারক চক্রের মূল হোতা জামাল উদ্দিন অগ্রণী ব্যাংকে পিয়ন পদে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনিসহ তাঁর দুই সহযোগী সালাম সরদার ও নাজমুল হক ২০২২ সালে সাজুর বাবা শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। পরে তাঁরা সাজুকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পিয়ন পদে একটি নিয়োগপত্র দেন।

সাজু নিয়োগপত্র নিয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগদান করতে গিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। এরপর প্রতারক চক্রের সদস্যরা টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছিলেন। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম র‌্যাব ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। র‌্যাব অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। শনিবার বিকেলে আবারও টাকা লেনদেন করার সময় প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে নওগাঁর বদলগাছি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা হয়েছে। আজ আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।