পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে গজারিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেছে পদপ্রত্যাশীরা। শনিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেছেন পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা মহাসড়ক থেকে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের গজারিয়ায় অংশের বিসমিল্লাহ হাইওয়ে রেস্তোরাঁর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায়। সেখানে কিছু সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি আনন্দ মেলা সিনেমা হলের দিকে যায়। পরে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ২০২১ সালে ১৫ ডিসেম্বর সম্মেলন ছাড়াই গজারিয়া উপজেলা শাখার ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইউনুস প্রধানের নাম ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে জেলায় তালিকা জমা দিতে বলা হয়। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কোনো পদক্ষেপ নেননি তাঁরা। এতে বর্তমান কমিটির ওপর নেতা-কর্মীরা হতাশ।

গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য পারভেজ আহমেদ সুমন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা না করায় গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের প্রথম ধাপে আমরা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করলাম। দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।’

২০২১ সালে ১৫ ডিসেম্বর সম্মেলন ছাড়াই গজারিয়া উপজেলা শাখার ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই বছর পেরিয়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।

সমাবেশে আরেক ছাত্রলীগ কর্মী তাফসীরুল কোরআন বলেন, ‘বর্তমানে ছয় সদস্যের পকেট কমিটিতে চলছে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ, যাঁদের মধ্যে চারজনই নিষ্ক্রিয়। এদিকে আট ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতে কমিটি থাকলেও অধিকাংশ ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিষ্ক্রিয়। অনেকে আবার বিদেশে চলে গেছেন। কেউ বিয়ে করে সংসার করছেন। কেউ আবার ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে চাকরি করছেন। এভাবে কখনোই ছাত্রলীগ চলতে পারে না। বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ডে নেতা-কর্মীর ক্ষুব্ধ। আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই, আমরা বাধ্য হয়ে পথে নেমেছি। দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধানের ফোনে ফোন দিলে তিনি ধরেননি।

জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘কমিটি করার সময় আমরা গঠনতন্ত্র অনুসারে একটা সময় বেঁধে দিই, যেন আংশিক কমিটিটি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেন। তবে এ কমিটি করতে যাচাই-বাছাই করার ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। খুব শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে।’