নোয়াখালীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৭ মণের শাপলাপাতা মাছ

মেঘনা ফিশিং এজেন্সির মাধ্যমে নিলামে সাত মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছটি বিক্রি করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালীর হাতিয়ার জেলেদের জালে সাত মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছটি স্থানীয় চেয়ারম্যানঘাটে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেঘনা ফিশিং এজেন্সির মাধ্যমে নিলামে মাছটি বিক্রি করা হয়।

মেঘনা ফিশিং এজেন্সির ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিন আগে তাঁদের একটি ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। সাগরে মাছ ধরার সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে একটি বিশাল আকৃতির শাপলাপাতা মাছ জালে ধরা পড়ে। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় মাছসহ ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরে আসেন মাঝি বিল্লাল হোসেন। ঘাটে আনার পর মাছটি ওজন করে দেখা যায়, এর ওজন প্রায় সাত মণ। পরে তাঁদের এজেন্সিতে মাছটি নিলামে ওঠানো হয়। নিলামের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছটি ৫০ হাজার টাকায় কিনেন নেন মানিক সওদাগর।

ট্রলারের মাঝি বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে সাগরে মাছ ধরছেন। তবে কখনো শাপলাপাতা মাছ পাননি। সাগর থেকে জাল তোলার পর বিশাল আকৃতির শাপলাপাতা মাছ দেখে তিনি অবাক হয়ে যান।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, বন্য প্রাণী আইন অনুসারে শাপলাপাতা মাছ ধরার ব্যাপারে কিছু কিছু এলাকায় নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে মাছটি নির্দিষ্ট কোন এলাকা থেকে ধরা হয়েছে, সেটা না জেনে বলা যাচ্ছে না।

এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে শাপলাপাতা মাছ ধরা ও বিক্রির দায়ে জেলে ও মাছ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বন বিভাগ, প্রশাসন ও কোস্টগার্ড। এসব ঘটনায় অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিতে দেখা গেছে। ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) তথ্যানুযায়ী, শাপলাপাতার ১৬টির মতো প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে যে ৮ থেকে ১০ প্রজাতির শাপলাপাতা পাওয়া যায়, এর মধ্যে ২টি প্রজাতি মহাসংকটাপন্ন ও ৩টি সংকটাপন্ন। পীতাম্বরী বা নাঙলা ও ঘণ্টি শাপলাপাতাকে মহাসংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। পান্ন্যা, শিংচোয়াইন ও ঠোট্ট্যা ঘাপরি শাপলাপাতাকে সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আছে চিত্রা হাউশ শাপলাপাতা, ছোটলেজি শাপলাপাতা, কালি শাপলাপাতা, ফুল শাপলাপাতা, বাদুড় শাপলাপাতা, বাদা শাপলাপাতা, থাইন ও চুনি প্রজাতি। এর কয়েকটি প্রজাতির বিক্রি নিষিদ্ধ।