লালমনিরহাটে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সদস্যপ্রার্থীর অর্থদণ্ড

ভ্রাম্যমাণ আদালত
প্রতীকী ছবি

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (আদিতমারী উপজেলা) সদস্যপ্রার্থী সেলিম হায়দারকে (৫০) অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান আজ সোমবার তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হয়েও আজ ভোটের আগে রশিতে ঝোলানো নির্বাচনী পোস্টারে সেলিম হায়দার নিজেকে বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য উল্লেখ করেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সেলিম হায়দারকে জরিমানা করা হয়।

আজকের ভোটে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (আদিতমারী উপজেলা) সদস্য পদে সেলিম হায়দার পরাজিত হয়েছেন।

সেলিম হায়দার আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন। তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।

সেলিম হায়দারের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালি গ্রামে। তিনি আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি।

এদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। বেলা তিনটায় নির্বাচনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (আদিতমারী উপজেলা) সদস্য পদে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সেলিম হায়দার পরাজিত হন। জয়লাভ করেন আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনছুর আলী। তিনি ওই ইউনিয়নের সারপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। নির্বাচনে মনছুর আলী ৭৫ ভোট এবং সেলিম হায়দার ২৬ ভোট পেয়েছেন।