যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলাট সীমান্ত থেকে ৭ কেজি ৩৩৭ গ্রাম ওজনের ৬৩টি সোনার বার ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ও গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সোনার বার ও টাকাগুলো জব্দ করা হয়।
আজ বিকেলে শার্শার অগ্রভুলাট সীমান্তে বিজিবির খুলনা ব্যাটালিয়নের (২১ বিজিবি) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সোনার বারগুলো জব্দ করেন। এ সময় সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুর রাজ্জাক (৪৮) নামের একজনকে আটক করেছে বিজিবি। এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) মুন্সিপুর সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা দামুড়হুদা সীমান্তের ৯৩ মেইন পিলার থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে টাকাগুলো উদ্ধার করেন।
খুলনা ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, আটক আবদুর রাজ্জাক শার্শা উপজেলার বারোপুতা গ্রামের সমসের আলীর ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেলে বিজিবি অগ্রভুলাট সীমান্তে অভিযান চালায়। এ সময় আবদুর রাজ্জাক মোটরসাইকেল চালিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্দেহের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা আবদুর রাজ্জাকের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তল্লাশি করেন। এ সময় ওই মোটরসাইকেলের চেসিসের অংশ থেকে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৬৩টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
পরে বিজিবি সোনা ও মোটরসাইকেলসহ আবদুর রাজ্জাককে আটক করে। বিজিবির দাবি, জব্দ করা সোনা ও মোটরসাইকেলের আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
খুলনা ব্যাটালিয়নের (২১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান বলেন, সোনার চালানটি ভারত থেকে চোরাইপথে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হচ্ছিল। আটক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে আজ দুপুরে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সন্ধ্যায় দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর সীমান্ত ফাঁড়ির বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. আলা উদ্দিনের নেতৃত্বে সশস্ত্র টহল দল নিয়মিত রাত্রিকালীন টহল দিচ্ছিল। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তিকে দুটি ব্যাগ হাতে নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে দেখেন টহল দলের সদস্যরা। কিছু সময়ের মধ্যে বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিজিবি সদস্যরা এ সময় দুই দলে ভাগ হয়ে ধাওয়া করলে ওই দুই ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে থাকা দুটি ব্যাগ ফেলে ভারতের দিকে পলিয়ে যান।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) পরিচালক ও অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, কুয়াশা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকায় ওই দুজনকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে বাংলাদেশি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া জব্দ করা টাকাগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হবে।