বগুড়ায় নদী বাংলা কমপ্লেক্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া শহরের টেম্পল সড়কেছবি: সোয়েল রানা

বগুড়া শহরের বহুতল বাণিজ্যিক বিপণিবিতান মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় এম এ খান লেনে ওষুধ ও ইলেকট্রনিক পণ্যের পাইকারি এ বাণিজ্যিক মার্কেটের ষষ্ঠ তলায় আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া একটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় মেরিনা সিনেমা হল ভেঙে দুই দশক আগে বহুতল বাণিজ্যিক মার্কেট মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়। মূলত মার্কেটজুড়ে ইলেকট্রনিক পণ্য ও ওষুধের পাইকারি বেচাকেনা হয়ে থাকে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইহান ওলিউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বেলা সোয়া একটার দিকে মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ষষ্ঠ তলায় ওষুধের একটি গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে লাগে পড়েন। আগুনে ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগুন লাগার খবরে মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের সামনে মানুষের ভিড়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া শহরের টেম্পল সড়কে।
ছবি: প্রথম আলো

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, বিপণিবিতানের ষষ্ঠ তলায় ২০টি ওষুধের দোকান ও গুদাম ছিল। বেলা সোয়া একটার দিকে অভি মেডিকেল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বেলা ১টা ২০ মিনিট থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। বগুড়া ছাড়াও শেরপুর, শাজাহানপুর ও কাহালু থেকে আসা তিনটি ইউনিটসহ মোট আটটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেল চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া ভবনের ১০ তলায় আটকে পড়া ১০-১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ১টি ওষুধের দোকান এবং আরও ১৮-১৯টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালামাল আংশিক পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করার চেষ্টা চলছে। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।