আদালত
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ১৪ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার দেখানোর পর আজ শনিবার বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার রওশনআরা মহিলা কলেজ এলাকা থেকে নাশকতার প্রস্তুতিকালে ওই ১৪ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এতে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। তবে আটক ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, শ্রমিক দল সভাপতি মাসুদ খান, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান, খাউলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, খাউলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সুমন খান, আবদুর রব, মো. আবুল বাসার।

এ ছাড়া আটক আরিফুল ইসলাম, মো. বাদল শরিফ, মো. ইমদাদুল ইসলাম হাওলাদার, মো. মিন্টু হাওলাদার ও এস এম ফেরদৌসের দলীয় পরিচয় জানা যায়নি।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আটক বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত, একটি বিস্ফোরিত ককটেলসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। মামলার পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।

তবে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোজাফফর রহমান আলম বলেন, ঢাকায় তাঁদের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই নেতা–কর্মীদের আটক ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে পুলিশ। গত কয়েক দিনে মোরেলগঞ্জ ছাড়াও বাগেরহাটের ফকিরহাট, রামপাল, কচুয়া, মোল্লাহাট, চিতলমারী, মোংলা ও সদর উপজেলা থেকে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়েছে।