মদনে বিএনপির ২৫৯ নেতা-কর্মীর নামে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ৩
নেত্রকোনার মদনে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলমকে প্রধান করে ২৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে মদন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশিস দত্ত বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পুলিশ বিএনপির তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার তিন নেতা হলেন—কাইটাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বিএনপির নেতা রেহান আকন্দ ও কাউসার আহমেদ।
পুলিশ ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ভোলায় গুলিতে বিএনপির দুই নেতা নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে মদনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ছিল বিএনপির। বেলা ১১টায় চানগাঁও ইউনিয়নের শাহপুর ঈদগাহ মাঠে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও একই স্থানে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘণ্টাখানেক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এ সময় মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খোরশেদ আলম, কনস্টেবল আজিজুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তত ১৮ জন আহত হন। ওই দিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে মামলা করে। পরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মদন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। আমাদের সাতজন নেতা-কর্মী আহত হন। এখন পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে তিনজন পুলিশসহ আমাদের ১১ নেতা-কর্মীকে আহত করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব।’
ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।