রংপুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু
শাক তুলতে গিয়ে পা পিছলে নির্মাণাধীন একটি সেফটিক ট্যাংকের ভেতর পড়ে যান দেলোয়ারা বেগম নামের এক নারী। উদ্ধার করতে সেখানে নামেন তাঁর ছেলে হুদা মিয়া। মা ও ছেলের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে শেষে ট্যাংকের ভেতরে নেমে পড়েন প্রতিবেশী ইবলুল মিয়া। সেখানে তাঁদের তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে রংপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ সকাল ছয়টার সময় কচু শাক তুলতে বের হন দোলোয়ারা বেগম। নিজেদের নির্মাণাধীন সেফটিক ট্যাংকের কাছে শাক খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ এর ভেতরে পড়ে যান তিনি। পরে তাঁকে তুলে আনতে সেখানে নামেন ছেলে হুদা মিয়া। এরপর সেফটিক ট্যাংকে নামেন প্রতিবেশী ইবলুল মিয়া। সেফটিক ট্যাংকে সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাসে তিনজনেরই সেখানে মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে সাতটার সময় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সংস্থাটি জানায়, তিনজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অসাবধানতার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।