নোয়াখালীতে বিয়েবাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, ধরা পড়েনি কেউ

ধর্ষণবিরোধী প্ল্যাকার্ড
প্রথম আলো ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বিয়েবাড়িতে কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় মামলাটি করেন। আসামিদের কাউকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরীর আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা। এ জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কবিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান সকালে এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে হাসপাতালে গেছেন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তির পরপরই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একই সময় কর্তব্যরত নার্সরা প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে রেখেছেন। আজ চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. টিপু (২৫) ছাড়াও তাঁর বাবা-মাসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক আছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে আছে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার স্বজনদের সঙ্গে বাড়ির পাশে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় ওই কিশোরী। রাতে মেয়েকে রেখে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়িতে চলে যান ওই কিশোরীর মা-বাবা। রাত ১১টার দিকে অভিযুক্ত টিপু ওই কিশোরীকে বিয়ে বাড়ির ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্ত টিপু সেখান থেকে পালিয়ে যান।