মাদারীপুর দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ, অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক

মাদারীপুরে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দলিল লেখকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ওই সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুর সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিল লেখকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন দলিল লেখকেরা। বুধবার বিকেলে জেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিল লেখক সমিতির নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজ সকালে দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়ে ঢুকে শহরের শকুনি লেকপাড় এলাকার মো. সজীব ও তাঁর সহযোগীরা হামলা করেছেন। এ সময় দলিল লেখক রুহুল আমিন খানের কাছে আনন্দ ভ্রমণে যাওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন সজীব। চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হলে সজীব ও তাঁর লোকজন রুহুল আমিনকে সমিতির ভেতরে মারধর করেন। এ সময় রুহুল আমিনকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন আরও কয়েকজন দলিল লেখক। পরে সমিতির কার্যালয়ে হামলা করে পালিয়ে যান অভিযুক্ত সজীব ও তাঁর সহযোগীরা। এ ঘটনার পর থেকেই অনির্দিষ্টকালের কলমবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।

সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি দিদার হোসেন বলেন, সমিতির মাধ্যমে তাঁরা সব সময় অসহায় মানুষের জন্য দান করে থাকেন। কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজ তাঁদের কাছে চাঁদা দাবি করলে তাঁরা টাকা কোথা থেকে দেবেন? চাঁদা না পেয়ে ওই সন্ত্রাসীরা তাঁদের সমিতির কার্যালয়ে ঢুকে লেখকদের মারধর করেন। এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবেন।

ভুক্তভোগী রুহুল আমিন খান বলেন, ‘আমার কাছে সজীব, রাব্বীরা প্রথমে পিকনিকের কথা বলে ১০ হাজার টাকা চান। আমি সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বললে ওঁরা আমার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে মো. সজীব প্রথম আলোকে বলেন, দলিল লেখকেরা অন্যায়ভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করেন। সাবরেজিস্ট্রারের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁরা চড়াও হন। সেখানে কোনো মারামারি হয়নি। দলিল লেখকেরা তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।

জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি তৌয়াবুর রহমান বলেন, ‘হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজসহ লিখিত অভিযোগ আমরা সদর থানায় দিয়েছি। পুলিশের কাছে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কলমবিরতি চালিয়ে যাব।’

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে চাঁদাবাজি ও হামলার একটি অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।