বিজয়ের মাসে ৩০০ কিলোমিটার হাঁটবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল
দেশের মানুষের কাছে অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ময়মনসিংহের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল এবার ৩০০ কিলোমিটার হাঁটবেন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে তাঁর এই পদযাত্রা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেয় ‘মুক্তিযোদ্ধার বিজয় পদযাত্রা সমন্বয় কমিটি’। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বয়স এখন ৭০ বছর।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার তেলিখালি থেকে ময়মনসিংহ নগরের সার্কিট হাউস মাঠ পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছিলেন বিমল পাল। ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস আর হালুয়াঘাটের তেলিখালিতে বিমল পাল মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এ কারণে পদযাত্রার জন্য তিনি হালুয়াঘাটকে বেছে নিয়েছিলেন।
আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিমল পাল বলেন, ‘নতুন প্রজন্মসহ সব বয়সী মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা পৌঁছে দিতে আরও একবার হাঁটব। ব্যক্তি বিমল পাল হিসেবে নয়, আমি সব মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ হয়ে হাঁটব। আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের সময় যে অসাম্প্রদায়িকতার ডাক ছিল, সেটি এখনো পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা পায়নি। এ কারণে আমি এই চেতনা ছড়িয়ে দিতে হাঁটতেই থাকব।’
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার বিজয় পদযাত্রা সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শংকর সাহা বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পালের ৩০০ কিলোমিটার হাঁটা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হবে মূল পদযাত্রা। ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে ফুলবাড়িয়া, ভালুকা, ত্রিশাল হয়ে ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলা এবং নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় তিনি হাঁটবেন। ১০ ডিসেম্বর তিনি হালুয়াঘাট থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার হেঁটে আসবেন। ওই দিন বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রার সমাপ্তি হবে।
বিমল পাল বলেন, ৩০০ কিলোমিটার হাঁটার জন্য আরও ১ মাস আগে থেকে তিনি প্রস্তুতি শুরু করেছেন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ কিলোমিটার করে হাঁটছেন। এ ছাড়া সুষম খাবার ও নিয়মিত ঘুমের ওপর তিনি বিশেষ জোর দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রফিকুজ্জামান, কবি ইয়াজদানী কোরায়শী, স্বেচ্ছাসেবক আলী ইউসুফ প্রমুখ।