জাল ভোট দিতে সহায়তা, ৬ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

সোনাইমুড়ির দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক হওয়া দুই তরুণছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দিতে সহায়তার অভিযোগে একটি কেন্দ্রের দুজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও চারজন পোলিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, ভুয়া ভোটারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন। উপজেলার আমিশাপাড়া নজরুল একাডেমি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন রিপন হোসেন ও মজিবুর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড ছাড়াও নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা প্রথম আলোকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও জানান, সোনাইমুড়ি উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দুপুরে তানিমুর রহমান নামের এক ব্যক্তি জাল ভোট দিতে আসেন। এখন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মো. কামাল উদ্দিন এবং চারজন পোলিং কর্মকর্তা মো. সোলাইমান সেলিম, কোহিনুর আক্তার, মহিনুল ইসলাম ও সাবিনা ইয়াসমিনকে দায়িত্ব থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং সেখানে নতুন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। একই সঙ্গে জাল ভোট দিতে আসা ব্যক্তি তানিমুর রহমানকে আটক করা হয়।