পাশের গ্রামে বিয়ে করতে হেলিকপ্টার নিয়ে গেলেন বর

পাশের গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে নতুন বউকে নিয়ে এলেন বর। আজ শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বংশাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠেছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাশের গ্রামে বিয়ে করতে হেলিকপ্টার নিয়ে গেলেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা আবদুল্লাহ বিন সিয়াম। আজ শুক্রবার বিকেলে বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে নতুন বউকে নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন তিনি।

বর আবদুল্লাহ বিন সিয়াম উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁর বাবা উপজেলার বেলতৈল গ্রামের হাবিবুর রহমান ইটভাটার মালিক।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবারের একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ বিন সিয়াম। আজ পার্শ্ববর্তী লতিফপুর গ্রামের শিক্ষক আলমাস মিয়ার মেয়ে আফরিন আক্তারের সঙ্গে সিয়ামের বিয়ে হয়। তিনি বেলা আড়াইটায় উপজেলার বংশাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে করে লতিফপুর একতা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামেন। গুগল ম্যাপের হিসাব অনুযায়ী এই দুই প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার।

বিদ্যালয় মাঠ থেকে তিনি কনের বাড়িতে যান। তার আগেই বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। মধ্যাহ্নভোজের পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে নিয়ে তিনি হেলিকপ্টারে ওঠেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি বংশাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নববধূকে নিয়ে অবতরণ করেন। সেখান থেকে প্রাইভেট কারে করে বাড়িতে যান। বর-কনেসহ হেলিকপ্টারটি ওই মাঠে নামালে উৎসুক এলাকাবাসী সেখানে ভিড় করেন।

মুঠোফোনে আবদুল্লাহ বিন সিয়াম বলেন, বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়। হেলিকপ্টারে করে বউ আনতে পেরে তিনিসহ পরিবারের সবাই খুশি। তাঁর মা–বাবা, দাদা-দাদিসহ পরিবারের সবার যৌথ উদ্যোগে তাঁর জন্য এ আয়োজন করা হয়। হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়িতে আসতে পেরে নতুন বউও খুব খুশি।

লতিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন বলেন, হেলিকপ্টারে বরযাত্রী আসার বিষয়টি তাঁদের এলাকায় প্রথম। স্থানীয় বাসিন্দারা বিয়ের অনুষ্ঠান খুবই উপভোগ করেছেন।