বিয়ের রেশ না কাটতেই সড়কে প্রাণ গেল তরুণের

নিহত মেহেদী হাসানের স্বজনদের আহাজারি। শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মেহেদী হাসানের (২২) বিয়ের অনুষ্ঠান হয় ২ জুন। গতকাল শুক্রবার স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। শনিবার দুপুরে একসঙ্গে খেয়েছেন। এরপর মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে বের হন মেহেদী। পথে নছিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গণপত্যা এলাকায় রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মেহেদী হাসান উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বকসিবাড়ী গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বার্থা গ্রামে।

মেহেদীর শ্বশুর রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার মেহেদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমাদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসে। সবাই শুক্রবারই চলে গিয়েছিল। মেহেদী আমাদের বাড়িতে থেকে যায়। দুপুরে আমরা একসঙ্গে খেয়েছি। এরপর মেহেদী বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। আমি চলে যাই কর্মস্থলে। পথে নছিমনের সঙ্গে মেহেদীর মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়।’

ছেলে মারা যাওয়ার খবরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন মেহেদীর মা। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ‘আমার বাবার হাতের মেহেদীর রং এখনো মুছে নাই। আল্লাহ একটা বছরও সময় দিলা না। আমি এই শোক কীভাবে সহ্য করব। আমি কাকে নিয়ে বাঁচব।’ এ সময় স্বজনেরা তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ওমর ফারুক পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে।