টঙ্গীতে মাদ্রাসার পুকুর থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের টঙ্গীর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পুকুর থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওই ছাত্রের নাম মো. ঈশান। সে কালীগঞ্জ উপজেলার নগরভেলা মো. রনির ছেলে। টঙ্গীর উত্তর আউচপাড়ার একটি ছাত্র হোস্টেলে থাকত সে।
মো. ঈশানের লাশ উদ্ধার করে টঙ্গী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, সাঁতার না জানায় পানিতে ডুবে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও ওই ছাত্রের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসার ভেতর একটি পুকুরে সাঁতার প্রতিযোগিতা চলছিল। ঈশান তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্রাবাস থেকে সাঁতার প্রতিযোগিতা দেখতে যায়। সবাই মিলে আনন্দ করে। কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎ দলছুট হয়ে যায় ঈশান। সাঁতার শেষে সবাই যে যার মতো ছাত্রাবাসে ফিরে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ফিরছিল না ঈশান। ছাত্রাবাস থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারাও ঈশানের ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিল না। সারা রাত স্বজন, বন্ধু-সহপাঠীর বাসায় তাকে খোঁজা হয়। পরবর্তীকালে সন্দেহবশত পুকুরে খোঁজাখুঁজি করলে ঈশানের লাশ পায় ফায়ার সার্ভিস।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান মো. ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা সকাল ১০টার দিকে পুকুরে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। একপর্যায়ে পুকুরঘাটের সিঁড়ির নিচে ঈশানের মরদেহ পাওয়া যায়। যতটুকু জেনেছি, ও সাঁতার পারত না। সে কি পুকুরে নেমেছিল নাকি পড়ে গেছে, তা কেউই বলতে পারছে না। আমরা নিয়মানুযায়ী থানা-পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।’
ঈশানের দাদা মেজবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঈশানরা মোট তিন ভাই। এর মধ্যে ঈশান মেজ। লেখাপড়া ভালো হবে, এ আশায় ইশানকে ছাত্রাবাসে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গতকাল রাতে হঠাৎই খবর পান তাঁর নাতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে সব স্বজনের বাসায় খোঁজ নেন। কিন্তু তারপরও তাকে পাননি। আজ বুধবার সকালে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি।
লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ছাত্রের শরীরে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। পানিতে ডুবে মৃত্যুর সব আলামত আছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই।