ট্যুরিস্ট গাইডদের স্মারকলিপি, রেমাক্রি ও নাফাখুম খুলে দেওয়ার দাবি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রির নাফাখুম ঝরনাফাইল ছবি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য নাফাখুম, রেমাক্রিসহ সব পর্যটন স্থান খুলে দেওয়ার দাবিতে ট্যুরিস্ট গাইড সমিতির নেতারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, সব গন্তব্য খুলে না দেওয়ায় পর্যটননির্ভর উপজেলার মানুষ চরম অর্থনৈতিক সংকটে দিনযাপন করছেন।

আজ রোববার বেলা তিনটায় থানচি থেকে পর্যটনসংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের একটি দল জেলা শহরে আসে। এদের মধ্যে ট্যুরিস্ট গাইড, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিক, নৌকা ও যানবাহন চালক সমিতির নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। তাঁরা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

থানচি ট্যুরিস্ট গাইড কল্যাণ সমিতির সভাপতি পাইথুই খেয়াং-এর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, থানচিতে কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা গত বছরের ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতি করে। তখন থেকে থানচি উপজেলায় পর্যটন বন্ধ রয়েছে। গত ৫ জুন উপজেলাসংলগ্ন তুমাতঙ্গী ও তিন্দু বড় পাথর এলাকা থেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ রেমাক্রি ঝরনা, নাফাখুম ও আরও অনেক পর্যটন গন্তব্য থেকে পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়নি। এর ফলে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ট্যুরিস্ট গাইড, যানবাহন ও নৌকাচালক, হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিক-কর্মচারীরা চরম আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ট্যুরিস্ট গাইড কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন বলেন, এমনিতে অধিকাংশ পর্যটন আকর্ষণ বন্ধ হওয়ায় তাঁরা সংকটে রয়েছেন, তারপর আবার নিরাপত্তার নামে পর্যটকদের হয়রানি, ট্যুরিস্ট গাইডদের হেনস্তা করা হয়। এ জন্য ট্যুরিস্ট গাইডরা গত বুধবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন।

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, তিনি ট্যুরিস্ট গাইডদের কথা শুনেছেন। থানচির সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন। স্মারকলিপিতে দাবি করা পর্যটন গন্তব্য খুলে দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।