আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ও জামাতাপক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫

শরীয়তপুর জেলার মানচিত্র

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাদশা শেখ ও তাঁর জামাতা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মোস্তফার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের ১৩ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া নড়িয়া থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ হোসেন ও কনস্টেবল জুয়েল ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নড়িয়া থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাদশা শেখ মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তাঁর ছেলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ শেখ। বাদশা শেখের জামাতা মামুন মোস্তফা নড়িয়া কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ইউনুছ শেখ ও মামুন মোস্তফা সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেন। দুজনই নির্বাচনে পরাজিত হন।

জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে বাদশা শেখের ছেলে ইউনুছ ও জামাতা মামুন মোস্তফার মধ্যে বিরোধ চলছিল। তার জের ধরে আজ দুই পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে দুই পক্ষ শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।

জেলা পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার জের ধরে আজ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিক উপজেলা সদরের কীর্তিনাশা নদীর তীর ও ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর ওপর ৩০ মিনিটব্যাপী এ সংঘর্ষে দুই পক্ষ শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ শটগানের ৪০টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আতঙ্কে নড়িয়া উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।

মামুন মোস্তফা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাদশা শেখের লোকজন আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমার কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আমার ৮ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’

বাদশা শেখ বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই কাদির শেখের ছেলে মিলন শেখকে মারধর করা হয়েছে। এর জের ধরে কিছু লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের সময় আমি ও আমার ছেলে ইউনুছ মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম।’

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে বাদশা শেখের ছেলে ইউনুছ ও জামাতা মামুন মোস্তফার মধ্যে বিরোধ চলছিল। তার জের ধরে আজ দুই পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০টি ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।