পটুয়াখালীতে লঞ্চে কেরানির মারধরে সুপারভাইজারের মৃত্যু

সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি। শনিবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১৪ লঞ্চে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে এক কর্মচারীর মারধরে অচেতন হয়ে যান লঞ্চটির সুপারভাইজার আবদুর রাজ্জাক (৬০)। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আজ শনিবার বিকেলে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে লঞ্চটির তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লঞ্চের অন্য কর্মীরা অভিযুক্ত কেরানি মশিউর রহমান ও লঞ্চের অপর সুপারভাইজার মো. ইউনুছ মিয়াকে পুলিশে দেন।

টার্মিনালের একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনার পর লঞ্চটি টার্মিনালে নোঙর করে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

আবদুর রাজ্জাকের হৃদ্‌যন্ত্রে রিং পরানো ছিল উল্লেখ করেন সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের কর্মী মো. আবু জাফর মৃধা।

তিনি প্রথম আলোকে বলেন, লঞ্চটির আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা। বিকেল ৫টার দিকে লঞ্চের কেবিন বুকিং নিয়ে সুপারভাইজার আবদুর রাজ্জাক ও কেরানি মশিউর রহমানের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে রাজ্জাককে কিল-ঘুষি মারেন মশিউর। এতে রাজ্জাক অচেতন হয়ে পড়েন। উদ্ধার করে তাঁকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসক সোলায়মান সালেহীন প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ওই লঞ্চের কেরানি মশিউর রহমান ও সুপারভাইজার ইউনুছ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।