গাইবান্ধায় অপহরণের চার দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

সাব্বির হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় অপহরণের চার দিন পর সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকার আখখামারের পরিত্যক্ত শৌচাগারের কূপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাব্বিরের বাড়ি উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সাব্বির উপজেলার বিশুবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল। শনিবার থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন সাহেবগঞ্জ আখখামারে কাজ করতে গেলে পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে দুর্গন্ধ ভেসে আসে। তাঁরা গোবিন্দগঞ্জ থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি দল টয়লেটের কূপ থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় এসে শনাক্ত করে লাশটি সাব্বিরের। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার দিন রাতেই স্কুলছাত্রের বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় রামনাথপুর গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৮), একই উপজেলার বিশুবাড়ী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আবদুল আলীম (১৮) এবং তরফকামাল গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে ইউনুস আলীসহ (৩৫) তিনজনের নাম উল্লেখ করেন। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় চার থেকে পাঁচজনকে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার বিকেলে বন্ধুত্বের সুবাদে সাব্বির হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে রবিউল ও আবদুল আলীম উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারস্থ গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কে নিয়ে যায়। সেখানে মাইক্রোবাস নিয়ে অপেক্ষমাণ একই উপজেলার তরফকামাল গ্রামের ইউনুস আলীসহ (৩৫) চার থেকে পাঁচজন তাঁকে অপহরণ করে। মামলা করার পর পুলিশ গত রোববার নিজ বাড়ি থেকে রবিউল ইসলাম ও আবদুল আলীমকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে রয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন সাব্বিরকে হত্যার সঙ্গে তার (সাব্বির হোসেন) বোনজামাই ইউনুস আলী জড়িত বলে পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে ইউনুসকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাবের একটি দল। ইউনুসকে ঢাকা থেকে গোবিন্দগঞ্জে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আরও জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা লাশের সন্ধান জানাননি। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। পূর্বশক্রতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপহরণ মামলাটি অপহরণ ও হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।