খায়ের আবদুল্লাহর বৈঠকে কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের মারামারি, আহত ১০

বরিশাল সিটি করপোরেশন

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের বান্দরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আহত ব্যক্তিদের নাম জানা যায়নি।

বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মিরাজ বলেন, বান্দরোডে মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তাঁদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থী এ টি এম শহীদুল্লাহ কবিরের কর্মী-সমর্থক, বাকি সাতজন অপর কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে বান্দরোড এলাকায় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহর উঠান বৈঠক চলাকালে ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নালের সমর্থক শেখর দাস মঞ্চে উঠতে চান। এ সময় মঞ্চে থাকা কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল্লাহ কবিরের কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে উঠতে বাধা দেন। এ নিয়ে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

নৌকা প্রতীকের নির্বাচন সমন্বয়কারী বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আফজালুল করিম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে উঠান বৈঠক করছিলাম। এক কাউন্সিলর প্রার্থী মিছিল নিয়ে আসার পরই এমন ঘটনা ঘটেছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল, এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের উঠান বৈঠকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পর কাউন্সিলর প্রার্থী এ টি এম শহীদুল্লাহ কবিরের সমর্থকেরা হামলা করেন। এতে আমার কর্মীরা আহত হয়েছেন।’

এ বিষয়ে এ টি এম শহীদুল্লাহ কবির বলেন, ‘ঘটনা ঘটার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমি লোক মারফত জানতে পারি, কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ও তাঁর সমর্থকেরা মঞ্চে ওঠাকে কেন্দ্র করে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় আমার তিন কর্মী আহত হয়েছেন।’

আজ শনিবার সকালে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।