বিরোধ ভগ্নিপতির সঙ্গে, কোপানো হলো তিন শ্যালককে

মুন্সিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় এক ব্যক্তির সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁর তিন শ্যালককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার শিলই ইউনিয়নের শিলই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন শামীম ব্যাপারী (৪৫), সোহেল ব্যাপারী (৪০) ও ইব্রাহীম ব্যাপারী (৩৫)। তাঁদের ভগ্নিপতির নাম ইসমাইল ব্যাপারী। তিনি শিলই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান লিটন ব্যাপারীর ছোট ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, শিলই এলাকার ইসমাইল ব্যাপারীদের সঙ্গে স্থানীয় শাহাদাত ব্যাপারীদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে কিছু দিন আগে তাঁদের মধ্যে দুই দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। দুই মাস আগে ইসমাইল ব্যাপারীর লোকজন মারপিট করে ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় বসবাস করছেন।

মঙ্গলবার ইসমাইলের স্ত্রীর ছোট ভাই ইব্রাহীম দিঘীপার বাজারে যান। সেখানে শাহাদাত ব্যাপারী তাঁর লোকজন নিয়ে ইব্রাহীমকে মারধর করেন। এ ঘটনা জেনে শামীম ও সোহেল ব্যাপারী বাজারে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে তিন ভাইকে চাপাতি, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন শাহাদাতের লোকজন।

ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় তিন ভাইকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক প্রথম আলোকে বলেন, রাত আটটার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তিন ভাইকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত ব্যক্তিদের ভাই সোহাগ ব্যাপারী বলেন, ‘আমাদের ভগ্নিপতি ইসমাইলের সঙ্গে শাহাদাত ব্যাপারীর ঝগড়া ছিল। আমরা তা এড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। আমরা শাহাদাতের ভয়ে ছিলাম। আমার বোনজামাইকে না পেয়ে তিন ভাইকে কুপিয়ে আহত করেছে শাহাদাতরা। দুজনের অবস্থা খুব খারাপ। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাহাদাত ব্যাপারীর মুঠোফোনে কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান রাত সাড়ে নয়টার দিকে বলেন, ‘শিলই এলাকায় মারামারির ঘটনা কথা শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে কেন, কারা, কী কারণে মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছেন, বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।’