কিস্তি নিতে যাওয়া এনজিওকর্মীকে হত্যা করে মাটিচাপা, সাত দিন পর লাশ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুরে এনজিওকর্মীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার জাবেদ হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাঠকর্মী মো. ইউনুছ আলীর (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের কালু হাজী সড়কের পাশে একটি বাড়িতে মাটি খুঁড়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে জাবেদ হোসেন (৩২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জাবেদ হোসেন কালু হাজি সড়কের সফিকুর রহমানের ছেলে ও পেশায় চা–দোকানি। নিহত ইউনুছ আলী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আবদুল গনি হেডমাস্টার সড়কের আবদুর রশিদ মোল্লার ছেলে। তিনি ‘গ্রামীণ বাংলা মাল্টিপারপাস’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ‘গ্রামীণ বাংলা’ এনজিও থেকে জাবেদ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এতে প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে কিস্তি দিতে হয়। কিন্তু তিনি কয়েক দিন কিস্তির টাকা দেননি। গত ২৪ আগস্ট বিকেলে ইউনুছ কিস্তির টাকা নিতে জাবেদের বাড়ির সামনে তাঁর চা–দোকানে যান। সেখানে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে ইউনুছের মাথায় আঘাত করেন জাবেদ। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তিনি দোকানের পেছনে মাটিতে মরদেহ পুঁতে রাখেন। ইউনুছের মোটরসাইকেল এবং মুঠোফোন পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বাড়ি না ফেরায় পরদিন তাঁর স্ত্রী সুলতানা জামান সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্তের পর অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার রাতে জাবেদকে তাঁর এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তিনি পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। লাশ উদ্ধারের পর সুলতানা জামান লক্ষ্মীপুর সদর থানায় জাবেদ হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।