দুধকুমার নদে গোসলে নেমে নিখোঁজের ২ দিন পরও শিশুটির সন্ধান মেলেনি

কুড়িগ্রাম জেলার মানচিত্র

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় দুধকুমার নদে গোসলে নেমে নিখোঁজের দুই দিন পরও সন্ধান মেলেনি এক শিশুর। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শালমারা ঘাট এলাকায় নদে গোসলে নেমে সে নিখোঁজ হয়। আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিশুটির কোনো হদিস মেলেনি।

নিখোঁজ শিশুটির নাম বায়জীদ হোসেন (৯)। সে উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর শালমারা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। বায়জীদ স্থানীয় পাগলাহাট বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বায়জীদসহ এলাকার বেশ কয়েকটি শিশু বাড়ির পাশে দুধকুমার নদে গোসলে নামে। সাঁতার কাটতে গিয়ে বায়জীদ দুধকুমার নদের স্রোতের তোড়ে পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পাশের উপজেলা নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়েও বায়জীদের সন্ধান পায়নি।

নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. ইমন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধান না পেয়ে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। পরে ডুবুরি দলের একটি ইউনিট এসে গতকাল শনিবার দিনভর দুধকুমার নদে অনুসন্ধান চালিয়েও নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধান পায়নি। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসাছাত্রের নিখোঁজের পর গতকাল দিনভর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সন্ধান পায়নি। আজ সকালেও তিনি নিখোঁজ শিশুটির পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন। শিশুটির বাবা বাদশা মিয়া সিঙ্গাপুরপ্রবাসী। শিশুটির দাদা পবিত্র হজ পালনে বর্তমানে সৌদি আরবে আছেন।