জীবননগর সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে বদর উদ্দীন (৩৫) নামের এক বাংলাদেশিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
বদর উদ্দীনের বাড়ি সীমান্ত ইউনিয়নের বেণিপুর গ্রামের স্কুলপাড়ায়। স্বজনেরা বলছেন, তিনি কৃষিকাজ করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজনের ভাষ্য, তিনি অবৈধভাবে ভারতে লোক আনা–নেওয়ার সঙ্গে জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বেণিপুর গ্রামের সীমান্ত থেকে বদর উদ্দীনকে ধরে নিয়ে যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার নোনাগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বেণিপুর গ্রামের শিলন মিয়া নামের এক ব্যক্তি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ৯টার দিকে কয়েকজন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় বদর উদ্দীনসহ তিনজনকে ধরে ফেলে বিএসএফ। এরপর তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় বদর উদ্দীন ছাড়া অন্য দুজন দৌড়ে দেশের ভেতরে চলে আসেন। আর বিএসএফ সদস্যরা বদর উদ্দীনকে রাইফেলের বাঁট দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে ফেলে রাখেন। পরে তাঁকে ভারতের ভেতরে নিয়ে যায় বিএসএফ। তাঁদের ধারণা, বিএসএফের পিটুনিতে বদর উদ্দীন মারা গেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রামবাসী বলেন, বদর উদ্দীন ও তাঁর সঙ্গীরা বেণিপুর গ্রামের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাঁচ থেকে ছয়জনকে সীমান্তের ওপারে পাঠাচ্ছিলেন। এই কাজ করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এ বিষয়ে বিজিবির মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’