বিতর্ক কেবল যুক্তি নয়, জ্ঞানেরও লড়াই

কক্সবাজারে পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব চলছে। আজ রোববার সকালে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল। সমুদ্রশহর কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেছে খুদে বিতার্কিকেরা। ‘যোগ দাও যুক্তির মেলায়’ স্লোগান নিয়ে আজ রোববার শুরু হচ্ছে পুষ্টি-প্রথম আলো আঞ্চলিক বিতর্ক উৎসব। উৎসবে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ১৪টি বিদ্যালয়ের ১৫৪ জন বিতার্কিক ছাড়াও অন্তত ৯০০ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কক্সবাজারে আঞ্চলিক এই বিতর্ক উৎসবে বিজয়ের মাধ্যমে জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে যুক্তির লড়াইয়ে নেমেছে তারা।

সকাল নয়টায় কক্সবাজার বন্ধুসভার সদস্যদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এম এম সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পুষ্টি চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গৌরব চক্রবর্তী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, কক্সবাজার সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শরমিন সিদ্দিকা লিমা, বিতার্কিক নওরিন হাসনাত উমামা প্রমুখ।

বিতর্ক উৎসবে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ, গণিত বিভাগের শিক্ষক নিজাম উদ্দিন ফারুকী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ কাশেম, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মিঠুন চক্রবর্তী, আবু বক্কর রফিক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ওবাইদুল হক, কক্সবাজার সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শরমিন সিদ্দিকা লিমাসহ ২১ জন বিচারক।

বিতর্ক উৎসবে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের একাংশ
ছবি: প্রথম আলো

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার মধ্যেও বিতর্ক আছে। ‘বিতর্ক কেবল যুক্তি নয়, জ্ঞানেরও লড়াই’। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুক্তির খুবই প্রয়োজন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন বলেন, বিতর্ক মানে জানা। প্রথম আলো বড় বড় প্রোগ্রাম করে। সমাজকে গড়ার জন্য যুক্তি বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

পরে সনাতনী বিতর্ক নিয়ে কর্মশালা ও সনাতনী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ জুলাই থেকে পুষ্টির পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রথম আলোর উদ্যোগে এই স্কুল বিতর্ক উৎসব শুরু হয়। দেশের ৩৯টি অঞ্চলে এ উৎসব হচ্ছে। আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীরা ঢাকায় জাতীয় পর্বে অংশ নেবে।

উৎসবে অংশ নেয় কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ছনখোলা মডেল হাইস্কুল, পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী এয়ার আলী খান আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, শিলখালী উচ্চবিদ্যালয়, রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রামু খিজারী আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, রামু বাঁকখালী উচ্চবিদ্যালয়, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন, কক্সবাজার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি, কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।