শরণখোলায় বন কার্যালয়ে আবারও বাঘের দেখা

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয় চত্বরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঘটিকে দেখা যায়। এ সময় টর্চের আলো ফেলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন বনরক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরবনে বন বিভাগের কার্যালয় চত্বরে আবারও বাঘের দেখা পেয়েছেন বনরক্ষীরা।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয় চত্বরে বাঘটিকে দেখা যায়। এ সময় টর্চের আলো ফেলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন বনরক্ষীরা। শব্দ করে বাঘটিকে তাড়িয়ে দেন। কিন্তু রাত ১২টার দিকে আবার বাঘটির উপস্থিতি টের পান তাঁরা।

এ ঘটনার পর রাতে বনরক্ষীদের একা বের হতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানান শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান। এ নিয়ে চলতি বছর সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন কার্যালয়ের আশপাশে মোট ছয়টি বাঘের দেখা গেল।

এর আগে ৭ অক্টোবর রাতে ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশন কার্যালয়ের বনরক্ষীদের ব্যারাকের সামনে দুটি বাঘ দেখা যায়। ৮ আগস্ট সকালে কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষীদের ব্যারাকের খুব কাছে চলে আসে বিশাল একটি বেঙ্গল টাইগার। এ সময় মোবাইলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন বনরক্ষীরা। এ ছাড়া গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রেঞ্জের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি অফিসের পুকুরপাড়ে দেখা মেলে জোড়া বাঘের। প্রায় ২২ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে বাঘ দুটি আবার বনে ফিরে যায়।

এসিএফ শেখ মাহাবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার দিকে কার্যালয় চত্বরে কয়েকটি হরিণ ঘাস খাচ্ছিল। এ সময় বনের ভেতর থেকে একটি বাঘ এসে হরিণের পালে আক্রমণ করে। পরে ব্যারাক থেকে বনরক্ষীরা বিষয়টি দেখতে পান এবং ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় নানাভাবে শব্দ করে বাঘটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে রাত ১২টার দিকে হরিণের অস্বাভাবিক ডাকাডাকি শুনতে পান তাঁরা। ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি গভীর রাতে আবার এলাকায় এসেছিল। বাঘ দেখার পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

মাহাবুব হাসান আরও বলেন, ‘আগেও অফিসের চারপাশে বিভিন্ন জায়গায় বাঘের পায়ের অসংখ্য ছাপ দেখতে পেয়েছি। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, আগেও অফিস চত্বরে কয়েকবার বাঘ এসেছিল।’

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নূরুল করিম বলেন, শরণখোলা রেঞ্জ অফিসটির পূর্ব পাশে গহিন বন এবং পশ্চিমে ভোলা নদী। পূর্ব পাশ থেকে বাঘ, হরিণসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী কার্যালয় চত্বরে সহজেই প্রবেশ করে। পূর্ব পাশের পৌনে এক কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারলে আর বাঘ ঢুকতে পারবে না। তখন নিরাপদ থাকবেন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীরা। শিগগিরই সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।