মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই নারীর স্বামী দুবাইপ্রবাসী। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকেন টঙ্গীতে নিজেদের বাসায়। প্রায় দুই বছর আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। বিষয়টি কোনোভাবে জেনে যান স্বপণ মৃধা। সেই সুযোগে সাত–আট মাস আগে ওই নারীর মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ছবি ও কিছু ভিডিও হাতিয়ে নেন স্বপণ। এরপর সেসব তাঁর স্বামীকে জানিয়ে দেওয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন স্বপণ। একপর্যায়ে সম্মান ও সংসার রক্ষার স্বার্থে তাঁকে বিভিন্ন ধাপে পাঁচ লাখ টাকা দেন ওই নারী। পাশপাশি তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন দুটি গলার চেইন, কানের দুলসহ প্রায় আড়াই ভরি স্বর্ণ।
১২–১৩ দিন আগে হঠাৎ বিষয়টি জেনে যান স্বপণের বড় ভাই মোহর মৃধা। তিনিও ওই নারীর বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ১২ মার্চ হঠাৎ ভুক্তভোগী নারীর বাসায় ঢুকে পড়েন মোহর মৃধা। ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মোহর। একপর্যায়ে গায়ে হাত ও মারধর করলে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। আর এসব কাজে দুই ভাইকে সহযোগিতা করেন রাজু ও শাকিলেরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্তে নামি। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’