সাভারে ব্যবসায়ীর বিরোধ মিটিয়ে টাকা দাবির অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে এক ব্যক্তির ব্যবসা–সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার পর অনৈতিকভাবে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. শুভাস খানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। দাবি করা টাকা না দেওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের আটকে রাখা এবং তাঁর মোটরসাইকেল নিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মো. জয়নাল আবেদিন সাভার মডেল থানায় এ–সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে শুভাস খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাভার মডেল থানায় ডেকে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।

ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে ও লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোটরসাইকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনাবেচা করেন জয়নাল আবেদিন। তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন মো. বাবু নামের এক ব্যক্তি। ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য সাত-আট মাস আগে মো. রাব্বি নামের এক ব্যক্তি ও শুভাস খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জয়নাল। তাঁদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।

মীমাংসার পর জয়নালের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেন তাঁরা। পরে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছরের ১৫ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শুভাস, রাব্বিসহ আরও দু-তিনজন জয়নালের পরিবারের লোকদের ডেকে নিয়ে শুভাসের অফিসে আটকে রাখেন। পরে বাসা থেকে জয়নালের মোটরসাইকেলটি নিয়ে যান রাব্বি এবং ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আটকে রাখা পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে দেন তাঁরা।

জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাব্বি ও শুভাসের সহযোগিতায় আমার সমস্যা সমাধানের পর তিন দফায় তাঁদের ২৫ হাজার টাকা দিই। এরপরও তাঁরা ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমার মোটরসাইকেল বাসা থেকে নিয়ে যান। এত দিন নানাভাবে মোটরসাইকেল ফেরত পেতে চেষ্টা চালিয়েছি। ব্যর্থ হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানতে মো. শুভাস খানকে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি আটক নয়। অভিযোগকারীও থানায় আসছেন। দুজনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।