রংপুরে হেমন্তের শুরুতেই শীতের কুয়াশা

হেমন্তের ভোরে কুয়াশার মধ্যে ধানখেতের আলপথ দিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছেন দুজন। ছবিটি রংপুর শহরতলির বুড়াইল এলাকায়
ছবি: মঈনুল ইসলাম

সকালে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল রংপুরের জনপদ। মৃদু ঠান্ডা বাতাস বইছিল। হেমন্তের শুরুতে একেবারে শীতের আমেজ। যদিও শীতকাল আসতে এখনো দুই মাস বাকি।

রংপুরে এক সপ্তাহ ধরে আবহাওয়া একটু অন্য রকম থাকছে। দিনের বেলা রোদ আর গরম থাকলেও বিকেল থেকে হালকা ঠান্ডা লাগছে। বাসাবাড়িতে রাতে বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরলেও ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। শেষ রাতের দিকে আবার গায়ে চাদর জড়াতে হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে কথা হয় শহরের জুম্মাপাড়া এলাকায় বাসিন্দা মজিবর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রংপুরে দেরিতে বর্ষাকাল শেষ হলো। এখন হঠাৎ মনে হয় ঠান্ডাটা পড়ল। রাতে কখনো ফ্যান বন্ধ থাকছে, আবার কখনো চালু করতে হচ্ছে। কখনো গরম, আবার ঠান্ডা। তাই শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে।’

সকালের আকাশটা আজ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। এক সপ্তাহ থেকে রাতে কুয়াশা ঝরছে। ভোর থেকেই থাকছে ঘন কুয়াশা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তরের হিমালয় থেকে আসা মৃদু ঠান্ডা বাতাস।

আজ সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সাতগাড়া, রাজেন্দ্রপুর, নিসবেতগঞ্জসহ আরও কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধানখেতগুলো কুয়াশায় ভিজে গেছে।

রাজেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা রামচন্দ্র রায় সকাল সকাল আমনখেতে কাজ করতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেখেছি, ধান কাটার সময় শীত পড়তে শুরু করে। এখনো ধান উঠতে অনেক সময় বাকি। মনে হচ্ছে, আগাম শীত আসবে। ইতিমধ্যে রাতে কুয়াশা পড়ছে। টিনের চাল ভিজে যাচ্ছে। সকালেও অনেক কুয়াশা।’

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, রংপুরে আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্ষা দেরিতে শেষ হলো, শীতও নেমে পড়েছে। ভোরের দিকে ব্যাপক কুয়াশা ঝরছে। আকাশে মেঘ ও হালকা বাতাস থাকায় কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে।