সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে ডাকাতের হাতে জিম্মি ব্যক্তিকে উদ্ধার
দিনদুপুরে একটি বাসায় ডাকাতির চেষ্টা করছিলেন চার ডাকাত। এক বাসিন্দার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার পর ডাকাতদের দুজন পালিয়ে যান। এক ডাকাত গৃহকর্তার গলায় ছুরি ধরে তাঁকে নিয়ে ঢুকে পড়েন শৌচাগারে। পুলিশের উদ্দেশ্য বলেন, আটকের চেষ্টা করলে ছুরি চালানো হবে গৃহকর্তার গলায়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে ওই গৃহকর্তাকে উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয় ডাকাতদের দুজনকে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরের পাঁচলাইশ এলাকার প্রবর্তক সংঘের বিপরীতে থাকা ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহকর্তা মোহাম্মদ লোকমান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আবুল খায়ের গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আবুল খায়েরের মেয়ের জামাতা।
আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির পাশে উৎসুক জনতার ভিড়। তবে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সদস্যরা জানান, ভবনটির ভেতর থেকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও নিরাপত্তাকর্মীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী পাঁচলাইশ থানায়ও ফোন করে ওই বাসায় ডাকাত ঢোকার বিষয়টি জানানো হয়। পরে পাঁচলাইশ থানা–পুলিশের একটি দল ও পুলিশের সোয়াত দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। বাসাটির শৌচাগারে জিম্মি করে রাখা লোকমানকে সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, লোকমান ছাড়া পরিবারের আর কোনো সদস্য ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন না। মো. আকাশ, মো. সাব্বির, মো. রিয়াদ ও মো. বায়েজীদ নামের চারজন বাসাটিতে ডাকাতির চেষ্টা করেন। এর মধ্যে দুজন আগে থেকেই বাসায় ছিলেন। তাঁরা ওই বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। চার ডাকাতের মধ্যে দুজনকে আটকের কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও কোন দুজন, সেটি নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, বাসাটিতে প্রবেশ করে ঘরের লোকজনকে জিম্মি করে রেখেছিলেন ডাকাতেরা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তিনি বলেন, ‘বাড়ির মালিককে এক ডাকাত সদস্য জিম্মি করে শৌচাগারে আটকে রেখেছিলেন। আমরা সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেছি। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক দুজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।’